আরিফ আজগর।।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ১৪নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তরুণ নেতা তাজুল ইসলাম মজুমদার। তাজুল ইসলাম মজুমদার এ ইউনিয়নের মানুষের মন জয় করেছেন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জনসেবার মধ্য দিয়ে।
মহামারী করোনার দুঃসময়ে দফায় দফায় লকডাউনে মানুষ যখন নাভিশ্বাসে দিনাতিপাত করছিলেন, তখন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মানুষের পাশে মানুষের অগ্রদূত হয়ে পাশে দাঁড়ান মানবিক এই রাজনীতিবিদ। ইউনিয়নের মানুষের দোরগোড়ায় জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন তিনি।
মানুষের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ব্লাড ব্যাংক নামক একটি সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে করোনা পেন্ডামিকে জরুরি অক্সিজেন সরবরাহ করে ইউনিয়নের করোনাক্রান্তদের জীবন রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখেন তিনি। ওই ব্লাড ব্যাংকের সভাপতি তিনি। সারাদেশে যখন অক্সিজেনের তুমুল হাহাকার, তখন এই সংগঠনের উদ্যোগে ৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট, ওই সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীদের পিপিই, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেন সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে। এছাড়াও করোনার প্রারম্ভে করোনায় মৃতদের দাফনও করা হয়েছিল তাজুল ইসলামের নিজস্ব অর্থায়নে। নিজস্ব অর্থায়নে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করা হয়েছিল জরুরি রোগীদের জন্য, এছাড়াও ইউনিয়নের মানুষের সার্বক্ষণিক সেবার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রেখেছিলেন তাজুল ইসলাম মজুমদার, ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত করোনা রোগীকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন ওই ডাক্তার। এর বাইরে ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদ, মন্দিরে অনুদানসহ অসচ্ছল মেয়েদের বিয়ে, দুঃস্থদের চিকিৎসা সহায়তাসহ ইউনিয়নের বঞ্চিতদের অধিকার আদায়ে নিরঙ্কুশ ভূমিকা রেখে চলেছেন উদীয়মান এই নেতা।
হাজী রুহুল আমিন মজুমদার বৃত্তি ফাউন্ডেশন নামক একটি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ইউনিয়নের গরীব, দুঃস্থ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদান করে সুনাম কুড়িয়েছেন বেশ আগেই। প্রতিবছর এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তির আয়োজন করে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছেন তাজুল ইসলাম মজুমদার।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরুড়ার জননন্দিত নেতা নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এমপির নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হিসেবে রাজনীতিতে পটভূমি আঁকেন তরুণ এই রাজনীতিবিদ। সেসময় নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল বিপুল ভোটে জয়লাভ করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাজুল ইসলাম মজুমদারের উত্থানটা সেসময় থেকেই।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ডাবুরিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম তাজুল ইসলাম মজুমদারের। বাবা মোঃ আবদুল হাকীম মেম্বার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। বাবার হাত ধরেই রাজনীতির মাঠে প্রবেশ করেছিলেন তাজুল ইসলাম মজুমদার। প্রথমে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হয়ে বরুড়ার উন্নয়নের রূপকথার নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এমপির বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড হিসেবে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরবর্তীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তাজুল ইসলাম মজুমদার। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন।
সৌদি আরবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম মজুমদার তার স্বপ্নের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। মানুষের সেবা করাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য। রাজনীতি করে মানুষকে কিছু দিতে এসেছি। ইউনিয়নের মানুষ আমাকে ভবিষ্যতের কাণ্ডারী মনে করলে ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাবো। অবহেলিত এই ইউনিয়নের ২৩টি গ্রামকে মডেল গ্রামে রূপান্তর করবো। ইউনিয়ন থেকে মাদক, ইভটিজিং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নির্মূলে নিজেকে উৎসর্গ করে দেওয়ার কথাও জানান তারুণ্যের আইডল তাজুল ইসলাম মজুমদার।
