সকালের কুমিল্লা ডেস্ক।।
কুমিল্লার বরুড়ায় ঝলম ইউনিয়নের ছোট বারেরা প্রকাশ যুগীমেহের গ্রামের আবুল হোসেন এর মেয়ে আলেয়া বেগম (২৭) এর সাথে একই ইউনিয়নের মহিদপুর গ্রামের ফজর আলীর পুত্র প্রবাসী মীর হোসেনের সাথে সামাজিক রীতিনীতি অনুযায়ী ইসলামী শরীয়া সম্মত ভাবে মোবাইলের মাধ্যমে বিবাহ সম্পূর্ণ হয়।
ছেলের বোন জামাই গোলাম খাজার মধ্যস্থতায় এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্রসহ বিয়ের কথা চুড়ান্ত হয়। ঐ সময় শর্ত ছিল ছেলে তিন মাসের মধ্যে দেশে আসবে। কিন্তু দীর্ঘ নয় মাস যাবৎ দেশে আসতে পারেনি ছেলে। বিয়ের দিন আনুষ্ঠানিক কথা শেষে ছেলের মা পুত্র বধুকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসেন। সেখানে আলেয়া বেগম ছয় সাত মাস ঠিকমত ঘর সংসার করে।
গত তিন মাস পূর্বে স্বামী মীর হোসেন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা কাটা কাটির জের ধরে আলেয়া বেগম এর সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এর পর থেকে ছেলে বউকে নিয়ে ঘর সংসার করতে অপারগতা প্রকাশ করে। গত তিন মাস পূর্বে ছেলে দেশে আসলে ও স্ত্রী সাথে সাক্ষাত হয়নি। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।
আলেয়া বেগমের ভাই এ বিষয়ে বাদী হয়ে বরুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ দরবার করেও সমাধান হয়নি, আলেয়া বেগমের ভাই জুলহাস মিয়া বলেন মীর হোসেন আমার বোনকে ঘরে না নিতে নাটক সাজিয়ে নিজে আত্মগোপনে রয়েছে এমনকি মীর হোসেন তার লোকজন দিয়ে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। মীর হোসেন এর মা আয়ফল বেগম সাংবাদিকদের জানান আমার ছেলের বউ প্রথমদিকে ঠিক ছিল কিন্তু গত ৩/৪ মাস ধরে রাতে অন্য লোকের সাথে কথা বলার কারণে আমার ছেলে তাকে মেনে নিতে পারছে না এবং বর্তমানে আমার ছেলে কোথায় আছে তা আমরা জানি না।