এম এ কাদের অপু।।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ১ নং বাকই দক্ষিণ ইউনিয়নের আদায়কারী মোঃ আবদুস সাত্তার সুমন একজন খাজনা আদায়কারী হয়ে জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড বানিয়ে দিবে বলে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিলো ১৩ হাজার টাকা।
ইউনিয়নের খাজনা আদায়কারী সুমের বিরুদ্ধে পূর্বেও একাধিক অভিযোগ থাকলেও তা দেখার কেউ না থাকায় দিন দিন তার প্রতারণার মাত্র বেড়ে চলেছে।
পাঁচপাড়া গ্রামের মোঃ ইয়াসিনের ছেলে মেহেদি হাসানের জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড ১৫ দিনের মধ্যে বানিয়ে দিবে বলে ১৩০০০ টাকা নেয়, গেলো বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর ১২ তারিখে জন্ম নিবন্ধন ও ভোটার আইডি কার্ড বুঝিয়ে দিবে বলে টাকা নেয় সুমন।
এই পর্যন্ত ১ মাস ১৫ দিন হলেও ভোটার আইডি কার্ড করার জন্য এখনো আবেদনটিই ঠিক ভাবে করা হয়নাই। এই পর্যন্ত কতজন হয়রানি স্বীকার হয়েছে তা এই প্রতারক সুমনই ভালো বলতে পারে।
এইদিকে ভুক্তভোগী ইয়াসিন জানান, সুমন আমার সম্পর্কে শ্যালক হয়, তাই ওর উপর বিশ্বাস করে তাকে টাকা পয়সা দিয়েছি, কিন্তু আজ অব্ধি কোন সুরাহা নাকরায় আমি দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি।
৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জহিরুল হক বাবুল জানান, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা, ভুক্তভোগী ইয়াসিন আমার কাছে না আসে ওর কাছে কেনো দিলো? আমার কাছে দিলেইতো আমি সহযোগিতা করতে পারতাম।
১নং বাকই দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল জানান, আপনার মারফতে আমি জানতে পেরেছি, এর আগে আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানতামনা।
লাকসাম নির্বাচন কমিশনের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রাশেদ জানান, মেহেদি নামক ব্যক্তির নতুন আইডি কার্ড করার আবেদন করা হয়েছে, মোবাইলে ম্যাসেজ গেলেই আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এইদিকে প্রতারক আব্দুস সাত্তার সুমন জানান, আমি এই টাকা নিয়েছি ঠিক আছে, নির্বাচন অফিসের রাশেদ ভাইয়ের সাথে কন্ট্রাক্ট করেই আমি এমনটি করেছি আর একটু পরে আমি ইয়াসিন ভাইয়ের সাথে কথা বলে নিবো।
ডাটা এন্ট্রি অপারেটর রাশেদ আরো জানান, আমার ব্যাপারেন্যে কথা সুমন নামক্নব্যক্তি বলেছেন, আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানিনা।
এমন প্রতারককে আইনের আওতায় নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের রুপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার দায়ে এই প্রতারক সুমন সহ এর সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য আহবান করা গেলো।