ঢাকাশনিবার , ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুমিল্লায় বরের হাত ধোয়ার বকশিশ কম দেওয়ায় হাতাহাতিতে আহত প্রায় ৩০ জন

Edited by_Sakib al Helal
অক্টোবর ১৮, ২০২২ ৫:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বিল্লাল হোসেন,দেবিদ্বার।।

কুমিল্লার মুরাদনগরে বিয়ে বাড়ির খাওয়া দাওয়া শেষে বরের হাত ধুইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বকশিশ নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বর ও কনেপক্ষের ২৫-৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের দেবীদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর বিয়ে সম্পন্ন না করেই বরপক্ষ কনের বাড়ি থেকে ফিরে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মুরাদনগর উপজেলার ১৮ নম্বর ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের নেয়ামতকান্দি গ্রামের আমির হোসেন মেম্বারের বাড়িসংলগ্ন হাজ্বী বাড়িতে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাত্র মোঃ সাদেক হোসেন (২৬) দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের পশ্চিমপাড়া পাইঞ্জত আলী মুন্সীবাড়ির মোঃ ইসমাইল মুন্সীর ছেলে এবং পাত্রী মোসাঃ সোনিয়া আক্তার (১৮) মুরাদনগর উপজেলার ১৮ নম্বর ছালিয়াকান্দি ইউনিয়নের নেয়ামতকান্দি গ্রামের মোঃ শানু মিয়ার মেয়ে। বর এবং কনে পক্ষ আগে থেকেই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে গত রবিবার (১৬ অক্টোবর) পারিবারিকভাবে বিয়ের দিন ধার্য ছিল।
রবিবার দুপুরের পর বরযাত্রী কনের বাড়িতে গেলে গেটের সালামি নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে খাওয়া দাওয়ার একপর্যায়ে বরপক্ষকে খাবার পরিমাণে কম দেওয়ায় এবং বরের হাত ধোয়ানোর টাকা নিয়ে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই পক্ষ হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে বরপক্ষের ১৫-২০ জন ও কনেপক্ষের ৮-১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাইফুর ইসলাম, সায়মা বেগম, কামাল হোসেন, ফয়েজ আহমেদ, জুয়েল আহমেদ, বাবু, হেলালসহ কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় কনের বড় ভাই মোঃ গিয়াস উদ্দিন মুরাদনগর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, বরপক্ষ ১৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসার কথা থাকলেও তারা ১৬০ জন বরযাত্রী নিয়ে আসে। তাদের খাওয়া দাওয়া শেষ করার পর বরের হাত ধোয়ার বকশিসের দর-কষাকষিতে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
অভিযোগপত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে কনেপক্ষের মেয়েদের বরপক্ষের লোকজন অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মেয়েদের মারধর ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ অবস্থায় আমাদের বাড়ির লোকজন বরপক্ষকে শান্ত করতে গেলে তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের লোকদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় কনে সোনিয়া আক্তার, মোঃ সোহেল মিয়া, সানাউল্লাহ, মোঃ শিপন মিয়াসহ ৮-১০ জন মারাত্মক আহত হয়।
তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, বরপক্ষের লোকজন কনের কক্ষে ঢুকে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বরের ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিয়ে বাড়ির গেটে আসার পর গেটের বকশিশের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমরা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার পর আরো ৫০০ টাকা দিলে কনেপক্ষের লোকজন গেটের চেয়ার-টেবিল ছুড়ে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, বরযাত্রী ১৩০ জন যাওয়ার কথা থাকলেও ১২০ জন গিয়েছি। তার পরও খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রে বরপক্ষের লোকদের খাবার দিতে পারে নাই। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে বরের শেরওয়ানি ছিঁড়ে ফেলে। আমাদের নারী দাওয়াতিদের ওপরও মারাত্মক হামলা চালায়। আমি থামাতে গেলে মারধরের আঘাতে অচেতন হয়ে পড়ি।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বরপক্ষকে খাবার কম দেওয়াতে উভয় পক্ষের মারামারির অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।