তোফায়েল আহম্মেদ,দেবিদ্বার।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ গেছে। এসময় হামলা ভাংচুরে বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন ভাবি ও দেবরকে পিটিয়ে আহত করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বুধবার ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর দক্ষিণ ভিংলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় মৃত নান্টু মিয়ার ছেলে মো. আমির হোসেন (আহত) বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত মো. আমির হোসেন জানান, একই এলাকার আল আমিন হোসেনের সঙ্গে তার বেশকিছুদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ২৭ মার্চ তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়ার সূত্রপাত হলে আল আমিন হোসেন এবং অন্যান্যরা থানায় লিখিত অভিযোগ করে বাড়িতে ফিরে আমাকে মারধর করার জন্য খুঁজতে থাকেন। পরে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে, মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে মো. আল আমিন হোসেন, মৃত জানু মুন্সীর ছেলে মো. আঃ লতিফ এবং আল আমিন হোসেনের স্ত্রী মোসা. শিউলী আক্তার এবং জামিরে হোসেন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমির হোসেনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর শুরু করেন। এসময় আমির হোসেন ঘর থেকে বেড়িয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। ঘটনায় ডাক-চিৎকারে তার বড় ভাবি মোসাঃ মিনুয়ারা বেগম বাঁচাতে এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকেও পিটিয়ে আহত এবং শ্লীলতাহানি করে। প্রতিপক্ষের লোকজন মিনুয়ারা বেগমের দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের নেকলেস যার আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এবং তিনটি টিন সেড ঘর ভাংচুর করে ১ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং আমিরের দুইটি সিদল শুটকির মটকা ভেঙ্গে ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন। ঘটনায় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে আহত অবস্থায় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি রাম দা উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। ঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর জানান, দক্ষিণ ভিংলাবাড়িতে জমির বিরোধে হামলা-ভাংচুর ও মারপিট ঘটনার একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।