মোঃ মিজানুর রহমান মিনু।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে সেলিম জাহাঙ্গীর নামে এক প্রবাসী ব্যবসায়ী ও তার পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ডিভোর্স দেওয়ায় স্ত্রী নাসরিন আক্তারের বিরুদ্ধে। সেলিম জাহাঙ্গীর উপজেলার শুভপুর দক্ষিণ হাজারীপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের পুত্র ও নাসিরন আক্তার পাশ্ববর্তী গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত হাজী হানিফের মেয়ে। এদিকে নাসরিন আক্তারের পরকীয়া ও তাঁর ভাই দুলাল আহম্মেদ কর্তৃক ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা আড়াল করতেই মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানী করছে বলে এলাকাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীরের পরিবারের অভিভাবক চাচা শিক্ষক আবদুস সোবহান বিএসসিসহ পরিবারের সদস্যের দাবি, পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করার আহবান জানান।
জানা যায়, পারিবারিক সূত্রে প্রায় ১২ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত সম্মতভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ওমান প্রবাসী ব্যবসায়ী সেলিম জাহাঙ্গীর ও নাসরিন আক্তার। দাম্পত্য জীবনে মেহেদী হাসান সাফিন(১১) ও মোসাঃ আছমা আক্তার(৬) নামে দুই সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে নাসরিন আক্তার একাধিক পরকীয়ায় জড়িতে পড়ে। সর্বশেষ গত ৩ জুন গভীর রাতে বাড়ির ছাদে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে আলাপরত অবস্থায় গোপনের ব্যবহার করা মুঠোফোনসহ স্বামী সেলিম জাহাঙ্গীরের নিকট হাতেনাতে ধরা পড়ে। এনিয়ে বাঁধা দেয়ায় বিভিন্ন সময় নাসরিন আক্তার প্রবাসী স্বামী সেলিম জাহাঙ্গীর ও তাঁর মা নিলুফা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরদিন সেলিম জাহাঙ্গীরের পরিবারের দেওয়া সংবাদের মাধ্যমে নাসরিন আক্তারের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় সেলিম উদ্দিন বিএসসিসহ ২-৩ জন লোক গিয়ে তাকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ জুন আদালতের মাধ্যমে আইনগত প্রক্রিয়ায় নাসরিন আক্তারকে ডিভোর্স প্রদান করে সেলিম জাহাঙ্গীর। ডিভোর্স হওয়ার ১৪ দিন পর পরিকল্পিতভাবে হাতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে থানায় প্রবাসী সেলিম জাহাঙ্গীর, তাঁর ছোট ভাই শামীম এবং বায়োবৃদ্ধ মা নিলুফা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। রোববার বিকেলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে গোবিন্দপুর গ্রামে নাসরিন আক্তারের বাড়িতে গেলে সাংবাদিদের সাথে কোন প্রকার কথা বলতে রাজি নয় বলে দরজা বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় শুভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খলিলুর রহমান মজুমদার বলেন, ডিভোর্স পরবর্তী সময়ে ছেলের পক্ষ একাধিক বার যোগাযোগ করেছে। স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে মেয়ের পক্ষকে অবহিত করার পর আসবে বলে আর আসেনি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আরিফ হোসেন বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। এদিকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।