ঢাকাসোমবার , ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বরুড়ায় ভাতিজা কর্তৃক চাচা অপহরণ সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার

Edited by_Sakib Al Helal
মে ২৬, ২০২৩ ৫:৪৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএম মহসিন, বরুড়া।।
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চিকুটিপাড়ার মোঃ শহিদুর রহমানের ছেলে মোঃ জামাল হোসেন গত ২২ মে দুপুরে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন জামমুরা নামক স্থান হতে প্রকাশ্য দিবালোকে সবার সামনে থেকে জোরপূর্বক মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র আপন (চাচা) মোঃ অহিদুর রহমানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল ওহাব ও সোহাগ থেকে জানা যায়, ২২ মে দুপুরে একটা সিএনজি থেকে একজন বয়স্ক লোককে মারধর করে নামাচ্ছে লোকটির চিৎকার শোনে আমরা দৌড়ে গিয়ে তাদের বাঁধা দিলে তারা কোনো কথা না শুনে ঐ বয়স্ক লোকটিকে মোটর সাইকেলে করে নিয়ে যায়।
পরে ২৪ ঘন্টা পার হওয়ায় সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত মোঃ অহিদুর রহমান থেকে ঘটনার বিষয় জানতে গেলে তিনি জানান, আমার সম্পত্তিগত বিষয়ে নিয়ে আমার ভাই শহিদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে। গত রমজান মাসে আমার ভাই শহিদ, ভাতিজা জামালসহ তাদের পরিবারের লোকজন মিলে আমাকে মারধর করে এবং প্রাননাশসহ গুম করার হুমকি দেয়। এই বিষয় এলাকায় বিচার চেয়ে কোন প্রকার বিচার পাইনি। তার ধারাবাহিকতায়, গত ২২ মে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করি, মামলার বিষয় সংবাদ পেয়ে জামাল ও তার সহযোগীরা আমার সিএনজির গতিরোধ করে আমাকে পূর্ব ন্যায় মারধর করে সিএনজি থেকে টেনে হিছরে নামিয়ে অপহরণ করে বেলতলী নামক একটি দোকানে ২ ঘন্টা আটক করে রাখে। সেখান থেকে আমার মোবাইল ফোন দিয়ে বাড়ি থেকে তিন লক্ষ টাকা আনার জন্য দাবী করে। তাদের কথা মতো আমি বাড়িতে ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে আসার কথা বলি পরে তারা আমার মোবাইল ফোন টি বন্ধ করে দেয়। বেলতলী থেকে মোটর সাইকেলে করে বিভিন্ন যায়গা ঘুরাতে ঘুরাতে রাত বারোটার দিকে আমাকে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে যায় সেখানে তারা সারারাত ভরে মদ পান করে অগত্য বাসায় গালমন্দ করে মারধর করে। পরে আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা মূল্যের ছয়টি স্ট্যাম্পে টিপসই নেয়। ওই সময় তারা বাড়ি থেকে তিন লক্ষ টাকা আনার জন্য জোরালো চাপ প্রয়োগ করে। আমার বাড়ি থেকে কেউ টাকা না নিয়ে আসায় তারা উপস্থিত কয়েকজন বলাবলি করছে আমাকে মাদক দিয়ে চালান দিবে। আমি তাদের কাছে প্রান ভিক্ষা ও ইজ্জত ফিরে পেতে চাইলে এক পর্যায়ে ওখানকার এক স্থানীয় এক ব্যক্তি মাধ্যমে আমার বাড়িতে সংবাদ দেওয়ার জন্য মোবাইল নাম্বার দেই ওই লোক আমার ছেলের নাম্বারে ফোন দিয়ে আমার বিষয়ে অবহিত করে।
অপহরণ বিষয়টি এলাকা জানা জানি হলে এলাকার সর্দার সফিউল্লাহ অহিদুর রহমানকে অপহরণের বিষয় নিয়ে জামালের বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এক পর্যায়ে এ বিষয়ে জামালের সাথে যোগাযোগ করলে অহিদুর রহমানকে আটকের বিষয়টি শিকার করে বলে তিন লক্ষ টাকা দিলে অহিদুর রহমানকে ছেড়ে দিবে। পরিবারের সদস্যরা রাতের বেলা তাকে না পেয়ে পুলিশের মাধ্যমে অনেক খোঁজাখুঁজি করে রাতে তার কোনো সন্ধান পায়নি। ঘটনার পরের দিন সীমান্ত থেকে স্থানীয় লোকের মাধ্যমে পরিবারের সদস্য তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। সদর দক্ষিণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে যায়।

এদিকে এই ঘটনা অহিদুর রহমানের ভাই আবদুল ওহাব, হারুনুর রশিদ, মো: জব্বার, সিকুটিপাড়ার শিরন মিয়া ও মালেক মিয়া বলেন,অপহরণের ঘটনা সত্য আমরা শুনেছি
এমন ঘটনা দুঃখজনক।
এ বিষয় অভিযুক্ত জামাল হোসেনে সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা বলেন, আমার ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় তাদের কাছে আমরা টাকা পাবো এই বিরোধ নিয়ে তাদের সাথে দীর্ঘদিন সমস্যা চলমান। উক্ত বিষয়ে সদর দক্ষিন মডের থানায় মোঃ অহিদুর রহমান বাদী হয়ে, ভাতিজা জামাল হোসেনসহ অজ্ঞাত ৫ জনের নামে একটি অপহরনের অভিযোগ দায়ের করেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।