ঢাকাশনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইটি বিশ্ব
  3. আজকের ঢাকা
  4. আজকের রাশিফল
  5. আদর্শ সদর
  6. আমাদের পরিবার
  7. আর্ন্তজাতিক
  8. ইসলামী জীবন
  9. উদ্ভাবন
  10. করোনা
  11. কুমিল্লা
  12. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  13. কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন
  14. খুলনা
  15. খেলাধুলা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রমজানের গুরুত্ব ”

Edited by_Sakib al Helal
মার্চ ২৫, ২০২২ ৮:৩২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আলোচকঃ

হাফেজ মাওলানা মোঃ নূর হোসাইস,ফেনী

 

একটি বছর পরে আবার
ফিরে এলো মাহে রমজান
মুমিন হৃদয় পড়লো সাড়া
উঠলো জেগেএ নতুন প্রাণ।
”মহাগ্রন্থের মহাবাণী”
সূরা বাকারা আয়াত ১৮৩,১৮৫,১৮৭
সূরা আনআম আয়াত ১৬০
সূরা মুমিনু আয়াত ৫৯
সূরা নামল আয়ত ৮৯,৯২, নাস আয়াত ৬
তাফসীরে মারেফুল কোরআন, নুরুল কোরআন
ইবনে কাসীর তাফসীরে জালালাইন। রমজানে বেশী বেশী পড়ার গুরুত্ব বাড়ায় কোরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়।
”রাসূল আকরাম সাঃ উপদেশ ”
হজরত সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে একটি দরজার নাম ‘রাইয়ান’। এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্যরাও এই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে চাইবে। কিন্তু রোজাদার ব্যতীত অন্য কাউকে এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। (বুখারি ও মুসলিম)।
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত রাসুলে পাক (স.) ইরশাদ করেন, মানুষের প্রত্যেক আমলের সওয়াব দশ গুণ হতে সাত শত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। হাদিসে কুদসিতে আছে, আল্লাহ্ তাআলা বলেন, ‘রোজা এ নিয়মের ব্যতিক্রম, কেননা তা বিশেষভাবে আমার জন্য আমি স্বয়ং তার প্রতিদান দেব, বান্দা তার পানাহার ও কামনা–বাসনাকে আমার সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করেছে।
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) আরও বর্ণনা করেন রাসুলে পাক (সা.) বর্ণনা করেন, প্রত্যেক বস্তুর জাকাত রয়েছে, তেমনি শরীরেরও জাকাত আছে, আর শরীরের জাকাত হচ্ছে রোজা পালন করা। অর্থাৎ জাকাতদানে যেভাবে মালের পবিত্রতা অর্জন হয়, তেমনি রোজা পালনের মাধ্যমে শরীর পবিত্র হয়, গুনাহ মুক্ত হয়।
হজরত আবদুল্লাহ্ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন রাসুলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন, সিয়াম এবং কোরআন হাশরের ময়দানে বান্দা–বান্দীর জন্য সুপারিশ করবে এবং আল্লাহ্ তাআলা তাদের উভয়ের সুপারিশ কবুল করবেন।
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, হজরত মুহাম্মদ (স.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে।
বুখারি শরিফে বর্ণিত।
”রোজার তাৎপর্য ”
বছর ঘুরে এলো মাহি রমজান
নাজাত পেতে দিকে দিকে মুসলমান
মাহে রমজান মাহে রমজান মাহে রমজান।
আরবি মাসসমূহের নবম মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। রোজা শব্দটি ফারসি। এর আরবি পরিভাষা হচ্ছে সওম, বহুবচনে বলা হয় সিয়াম। সওম অর্থ বিরত থাকা, পরিত্যাগ করা। পরিভাষায় সওম হলো আল্লাহর সন্তুটি কামনায় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়তসহকারে পানাহার থেকে বিরত থাকা।
রমজানের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, আল্লাহ্ তাআলা এ মাসটিকে স্বীয় ওহি সহিফা ও আসমানি কিতাব নাজিল করার জন্য মনোনীত করেছেন। অধিকাংশ কিতাব এ মাসেই নাজিল হয়েছে।
হাদিসে বর্ণিত, হজরত ইব্রাহিম (আ.)–এর সহিফা রমজানের ১ তারিখে, তাওরাত রমজানের ৬ তারিখে, জাবুর রমজানের ১২ তারিখে, ইঞ্জিল রমজানের ১৮ তারিখে এবং পবিত্র কোরআন কদরের রাত্রিতে নাজিল হয়েছে। নিশ্চয়ই আমি এই কোরআনকে কদরের রাত্রিতে নাজিল করেছি।
রাসূল সাঃ বলেন বনী আদমের সমস্ত আমল তার নিজের জন্য শুধু মাত্র রোজার আমল আমার জন্য রোজার পুরুস্কার আমি স্বয়ণ নিজ হাতে দিবো।
কেউ যদি রোজা না রাখে একটা রোজা ভাঙে তাহলে তার কাফফারা হল টানা ২ মাস রোজা রাখা। টানা রোজা রাখার পরে জবাব দিহি করতে হবে আল্লাহ পাকের কাছে রোজা ভাঙলো কি কারণে আবার সে জবাব পাবার জন্য কিয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রোজার মাসে আল্লাহ পাক জান্নাতের দরজা খুলে দেন আর জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন এবং শয়তানকে বন্ধি করে রাখেন! বাকি বার মাস শয়তান মানুষকে কুমন্ত্রণা দেন তখন নামাজ না পড়লে শয়তানের দোষ আর রমজান মাসে শয়তানকে বন্ধি রাখার পরেও কিসে মানুষকে দৈনিক ১৭ রাকাত ফরজ নামাজ ত্যাগ করায়, রোজা রাখনা, জুলুম কর,দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো,মদখাওয়া,নেশা করা, নারী ধর্ষণ নির্যাতন করা শত শত পাপ করো রোজার মাসে এই সমস্ত ভয়ংকর পাপ করলে কার দোষ দিবা আল্লাহ পাকতো বলেছেন রমজানে শয়তানকে শিকল দিয়ে বন্ধি করে রেখেছি তার পর আল্লাহ পাক সূরা নাসের শেষ আয়াতে ৬ নং মানুষ শয়তান আর জ্বিন শয়তান বলে সম্বধোন করেছেন।
রাসূলে আকরাম সাঃ বলেছেন,‘রমযান এমন একটি মাস যে মাসে আল্লাহ তোমাদের জন্যে রোযা রাখাকে ফরজ করে দিয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি ঈমান সহকারে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় রোযা রাখবে,তার জন্যে রোযার সেই দিনটি হবে এমন যেন সবেমাত্র সে মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়েছে,অর্থাৎ রোযাদার তার সকল গুণাহ থেকে মুক্তি পেয়ে নিষ্পাপ শিশুটির মতো হয়ে যাবে।
আল্লাহ পাক বলেন বান্দা তুমি যত আমল করো নামাজ পড়, যাকাত দাও,হজ্জ কর,তাসবিহ পড়,তাহলিল পড়, তাকবীর বল, সব আমল তোমার নিজের জন্য কর আর রোজা শুধু আমার জন্য যার পুরস্কার আমি আল্লাহ নিজ হাতে দিবো।
রোজা ফরজ হয় দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১৮৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি, যাতে তোমরা আল্লাহভীরু হতে পারো, পরহেজগার হতে পারো। এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি, রোজার বিধান দেওয়া হয়েছে তাকওয়া অর্জনের জন্য, গুনাহ বর্জন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাতের উপযোগী হওয়া, নিজেকে পরিশুদ্ধ করার জন্য।
লেখক হাফেজ মাওলানা নুরহোছাইন।
কোন লেখায় যদি ভুল দেখেন দয়াকরে ইনবক্সে করবেন।
দ্বীনের স্বার্থে রমজানের স্বার্থে লেখা গুলো শেয়ার করুন।
সকল আলোচনা পেতে কয়কটা ইউটিউব লিংক
H MD ALOCHONA।
H Md Nurhossain
Famous tv
Feni media।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।