আজকের জুমার আলোচনা
আলোচকঃ হাফেজ মাওলানা নূর হোসেন,ফেনী।।
চাইবো না জান্নাত তোমার তরে
বলবো না হুরপরী নহর দিও
চাই শুধু আমি তোমার কাছে
আমায় করে নিও তোমার প্রিয়।
”মহা সংবিধান কোরআন আয়াত ”
সূরা কাহাফ আয়াত ১০৭,১০৮ সূরা মু মিনুন আয়াত ১ থেকে ১১ পর্যন্ত, সূরা ত্বহা ৮৩ নাম্বার টীকা,সূরা আম্বিয়া ৯৯ নাম্বার টীকা,সূরা ইমরান আয়াত ১৩৩,সূরা বাকারা আয়াত ২৫,সূরা তাওবা আয়াত ৭২, সূরা মুহাম্মদ আয়াত ১৫,সূরা হা-মীম সিজদা আয়াত ৩১।
তাফসীর দেখুন তাফসীরে তাফহীমূল কোরআন,তাফসীরে ইবনে কাসীর,নুরুল কোরআন।
”প্রিয় রাসূলের প্রিয় উপদেশ ”
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত। নবী সাঃ বলেন,আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন,আমি আমার নেককার বান্দাদের জন্য জান্নাতে এমন সব নিয়ামত তৈরী করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি কোন কান শুনেনি এবং কোন অন্তঃকরণ ও তা সম্পর্কে কোন ধারণা রাখে না।বুখারী,মুসলিম।
আনাস (রাঃ) বলেন, উম্মে রুবাইয়ে’ বিন্তে বারা’ যিনি হারেষাহ ইবনে সূরাকাহর মা, তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে হারেষাহ সম্পর্কে কিছু বলবেন না? সে বদরের দিনে খুন হয়েছিল। যদি সে জান্নাতী হয়, তাহলে ধৈর্য ধারণ করব, অন্যথা তার জন্য মন ভরে অত্যাধিক কান্না করব।’ তিনি বললেন, “হে হারেষার মা! জান্নাতের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের জান্নাত আছে। আর তোমার ছেলে সর্বোচ্চ ফিরদাউস (জান্নাতে) পৌছে গেছে।” (বুখারী)
মহানবী (ﷺ) বলেন, “অবশ্যই জান্নাতে একশ’টি দরজা (মর্যাদা) রয়েছে, যা আল্লাহ তার পথে জিহাদকারীদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন; দুটি দরজার মধ্যবর্তী ব্যবধান আসমান ও জমিনের মত। সুতরাং তোমরা (জান্নাত) চাইলে ফিরদাউস’ চেয়ো। কারণ তা হল জান্নাতের মধ্যভাগ ও জান্নাতের উপরিভাগ, আর তার উপরে রয়েছে রহমানের আরশ।” (বুখারী ২৭৯০)
রাসূল সাঃ বলেন আমার উম্মতরা কিয়ামতের আগে ৭৩ দলে বিভক্ত হবে তার মধ্যে ১ দল শুধু জান্নাতে যাবে বাকী সকল দল জাহান্নামে যাবে যারা জান্নাতে যাবে তারা হল আল্লাহ ও রাসূল সাঃ অনুসারী বুখারী।
”সংক্ষিপ্ত ইতিহাস”
তোমার জান্নাতে যত সুখ শান্তি
সারাবান তাহুরা ফুলে ফলে ভর্তি
নিয়ামত যত কিছু দিয়েছ সেথায়
চাইবো না তা কোনো দিনও।
রাসূল সাঃ বলেন জান্নাতের ১০০ টি দরজা আছে সবার উপর যে দরজা তা জান্নাতুল ফেরদাউস যার উপর আল্লাহ পাকের আরশ।
পৃথিবীর সকল ভাষায় পরিচিত শব্দ ফেরদাউস গ্রীক,ল্যাটিন,চাইনিস ভাষাসহ সকল ভাষায় সবার পরিচিত প্রাচীন পরিচয় ফেরদাউস শব্দটি।
আল্লাহ পাকের কোরআনের বিভিন্ন ভাষার সমষ্টিকে ফেরদাউস বলা হয়েছে।
যে ব্যক্তির ভিতির সূরা মুমিনের প্রথম ১০ আয়াতেট গুণ থাকবে ঐ ব্যক্তির আপ্যায়নের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের বাগান রয়েছে এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের জন্য বিশাল বিশাল ৩ টি গেট থাকবে ফেরেস্তারা সালাম দিয়ে দিয়ে স্বাগতম জানাবে।
যে সকল আল্লাহ পাকের বান্দারা মুহাম্মদ সাঃ কথা মেনে নিয়ে এই ১০ টি গুণাবলি নিজের মধ্যে সৃষ্টি করবে এবং এই নীতি অনুসারী হবে তারা যে কোন দেশ জাতি ও আখেরাতে সফল কাম হবে।
সফলতা নিছক ঈমানের ঘোষণা অথবা নিছক সৎচরিত্র ও সৎকাজের ফল নয়,বরং উভয়ের সম্মিলনের ফল,মানুষ যখন আল্লাহর পাঠানো পথনির্দেশ মেনে চলে এবং তার পর সে অনুযায়ী নিজের মধ্যে উন্নত নৈতিকতা ও সৎকর্মশীলতা সৃষ্টি করে তখন সে সফলতা লাভ করে।
ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার গাড়ি বাড়ি টাকা সম্পদ সফলতা নয়,বরং তা সায়মিক ও ক্ষণস্তায়ী সফলতা ব্যাপক সীমাহীন সফলতা হলো পরকালে ও জান্নাতুল ফেরদাউসে এটি ঈমান ও সৎকাজ ছাড়া হয়না।
মুমিনের ১০ টি গুণাবলি নবী সাঃ মিশনের সভ্যতার প্রমাণ হিসাবে পেশ করা হয়েছে, নবী সাঃ শিক্ষায় তোমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায় কায়েম করে পরকালের সীমাহীন মর্যাদা জান্নাতুল ফেরদাউস অর্জন করে নাও।
মালিক তুমি জান্নাতে
তোমার কাছে আমার
একটি ঘর বানিয়ে দিয়ো
একটি ঘর বানিয়ে দিয়ো।
সকল নবী রাসূলদের মিশন আল্লাহ ও তার হীবিব মুহাম্মদ সাঃ অনুসারীদের মৌলিক মিশন হলো জান্নাতুল ফেরদাউস লাভ করা।
রাসূল সাঃ বলেন তোমরা যখন আল্লাহর কাছে জান্নাত চায়বে তখন তোমরা জান্নাতুল ফেরদাউস চাইয়ো।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে জান্নাতের উত্তরাধিকারী হিসাবে কবুল করুক।
লেখক হাফেজ মাওলানা নুরহোছাইন।
দয়া করে কোন ভুল দেখলে অনুগ্রহ করে ইনবক্সে জানাবেন।
সকল আলোচনা পেতে ইউটিব লিংক
H MD ALOCHONA